খুলনার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোচিং ফিসের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের চেষ্টা !

এসএসসি পরীক্ষা-২০১৪
খুলনার বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে
কোচিং ফিসের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের চেষ্টা !
জয়নাল ফরাজীঃ
২০১৪ সালের এস,এস,সি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মহানগরী খুলনার অধিকাংশ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোচিং ফিসের নামে চলছে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের চেষ্টা। অতিরিক্ত টাকা দিতে অপারগ হলেও বাধ্যতামূলক ভাবে চলছে কোচিং ফিস আদায়। যেন দেখার কেউ নেই।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আগামী ২০১৪ সালের এস,এস,সি পরীক্ষার জন্য বোর্ড কর্তৃক সর্বোচ্চ ১২শটাকা নির্ধারণ  করা হয়েছে। কিন্তু মহানগরীর কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এটাকে অর্থ আদায়ের মৌসুম বানিয়ে হাজার থেকে হাজার শত টাকা পর্যন্ত অর্থ আদায় করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বাড়তি ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোচিং ফিস হিসেবে আদায় করার কথা বলছেন।
বিশেষ করে খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, খুলনা টেক্সটাইল মিলস্ হাই স্কুল, পি ডব্লিউ ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হ্যানে রেলওয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজী ফয়েজউদ্দিন এস এস হারমান মাইনার স্কুল, জিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সবুজবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রভাতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলছে অর্থ আদায়ের অবৈধ পায়তারা।
একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অতিরিক্ত টাকা তারা কোচিং ফিস বাবদ আদায় করছেন। পরীক্ষার পূর্বের মাস কোচিং করানোর জন্য এই টাকা ধরা হয়।
কিন্তু বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে মাস কোচিং করার সত্যতা আদৌ মেলেনি। প্রথম - দিন শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো হয়
খুলনা টেক্সটাইল মিলস্ হাই স্কুলের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলেন, মাস কোচিংয়ের কথা বলে কর্তৃপক্ষ অর্থ আদায় করে কিন্তু একসপ্তাহের বেশি ক্লাস করানো হয় না। প্রধান শিক্ষকের ইঙ্গিতে এমনটি করা হয় বলে তিনি বলেন। আর প্রতিবাদ করলে ফরম পূরন করতে না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
খুলনা কলেজিয়েট স্কুলের এক পরীক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষার ফিসের সাথে কোচিং ফিস না দিলে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না। বিদ্যালয়ের চাহিদাা মাফিক অর্থ পরিশোধ না করলে এমন হুমকি শুনতে হচ্ছে নগরীর অসহায় অভিভাবকদের। সন্তানদের ভবিষ্যত চিন্তা করে নিরবেই অর্থ পরিশোধ করছেন তারা।
শফিকুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক বলেন, কোচিং ফিস বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ফন্দি। নয়া অজুহাতে দেখিয়ে তারা অর্থ আদায়ের এই পন্থা অবলম্বন করছেন। তিনি ২০১১ সালের মত আবারও কোচিং বাণিজ্য বন্ধে যশোর বোর্ড কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সার্বিক বিষয় নিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনার উপ-পরিচালক টি এম জাকির হোসেন  প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে বলেন, বোর্ড নির্ধারিত ১২ টাকার উপরে কেউ আদায় করতে পারবে না। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমান পাওয়া গেলে  তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments