নগরীতে নিবন্ধন ছাড়াই চলছে ১০ সহস্রাধিক ইজিবাইক / জয়নাল ফরাজী

নগরীতে নিবন্ধন ছাড়াই চলছে ১০ সহস্রাধিক
ইজিবাইক ট্রাফিক আইন হচ্ছে ব্যাহত / জয়নাল ফরাজী

খুলনা মহানগরীতে নিবন্ধন ছাড়াই চলছে ১০ হাজারের বেশি ইজিবাইক। কেসিসি কর্তৃক প্রদত্ত হাজার ইজিবাইকের নিবন্ধন মেয়াদ উত্তীর্ন হয়েছে ইতিমধ্যে। আর ট্রাফিক আইন না মেনে যেখানে সেখানে পার্কিং করছে ইজিবাইক চালকেরা। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনদূর্ভোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান সরকার পরিবেশ দূষনের হাত থেকে জনগনকে রক্ষা করতে ইজিবাইক আমদানিতে অনুমতি দেয়। ২০১০  সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন মহানগরীতে হাজার ইজিবাইককে চলাচলের জন্য নিবন্ধন প্রদান করে। কিন্তু কিছু অসাধু আমদানীকারকের কারনে প্রতিনিয়ত সরবরাহ করা হচ্ছে  বিভিন্ন মডেলের অনুমোদনহীন ইজিবাইক। নিবন্ধন না নিয়েই চালকরা ইজিবাইক চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ইজিবাইকের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১০ হাজারের বেশি। যার একটিরও নেই নিবন্ধন। পূর্বের হাজার নিবন্ধনকৃত ইজিবাইকের নবায়ন না দেওয়ার এগুলো চলছে নিবন্ধনহীনভাবে। ট্রাফিক আইন না মেনে যেখানে সেখানে করা হচ্ছে পার্কিং। এর ফলে বাড়ছে জনদূর্ভোগ। নগরীর বিভিন্নস্থানে ট্রাফিক না থাকায় সেই স্থানে ইজিবাইকের কারনে চলাচল হয়ে পড়েছে দায়। ছোট ছোট গলির মধ্যেও ইজিবাইকের জট।
সুত্র জানায়, ট্রাফিক পুলিশের নিয়ম না মেনে বেপরোয়া চালকরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ ধরলে ২০-৫০ টাকা দিয়ে মুক্তি পাচ্ছেন তারা। কোন রকম তোয়াক্কা না করেই তারা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো রেখেছেন নিজেদের দখলে। বিশেষ করে ডাকবাংলা, শিববাড়ী, নিউমার্কেট, ময়লাপোতা, সাতরাস্তা, রয়েল মোড়, পিটিআই মোড়, রূপসা মোড়, বৈকালী, খালিশপুর, গল্লামারী, সোনাডাঙ্গা, খুমেক হাসপাতাল সড়ক, বয়রা বাজার এলাকায় দেখা যায় ইজিবাইক চালকদের খামখেয়ালীপনা। তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে ঘটছে ছোট ছোট দূর্ঘটনা। যেন দেখার কেউ নেই।
বিষয়ে কেসিসির লাইসেন্স পরিদর্শক মোঃ রফিক জানান, ২০১০ সালে হাজার ইজিবাইকের লাইন্সেন্স দেওয়া হলেও বর্তমানে এর সংখ্যা চার/পাঁচ গুন বেশি। পুরাতন ইজিবাইকের নবায়ন না করায় সেগুলো হয়েছে নিবন্ধনহীন। বর্তমানে কেসিসি লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রেখেছে। এই জন্য এখন অভিযান চালানো হচ্ছে না। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা কারনে এদিকে কেউ খেয়াল দিচ্ছে না।

মাসুম নামের এক পথচারী বলেন, যে ভাবে বাড়ছে ইজিবাইকের সংখ্যা কিছু দিন পর চলাচলের জন্য মানুষ রাস্তা খুঁজে পাবে না। রাস্তায় নামলে পড়তে হচ্ছে ইজিবাইকের ফাঁদে। চতুর্দিক থেকে চলাচলের কারনে মানুষের হাটা-চলার জন্য পথ পাওয়া যায় না। প্রশাসনের উচিত এগুলো নিয়ন্ত্রন করা।  

Comments