দক্ষিণাঞ্চলের ১২ জেলায় জ্বালানী তেলের সরবরাহ বন্ধ/ জয়নাল


দক্ষিণাঞ্চলের ১২ জেলায় জ্বালানী তেলের সরবরাহ বন্ধ বোরো চাষ ব্যাহত
মিলন হোসেন/ জয়নাল ফরাজী চলতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ১৮ দলের দফায় দফায় অবরোধের ফলে ট্যাংকলরী  নিরাপত্তাজনিত কারণে রাস্তায় নামাতে সাহস পাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এতে ট্যাংকলরীর শত শত ড্রাইভার বেকার হয়ে পড়েছে। যার কারনে মহানগরীর দৌলতপুরস্থ ডিপোগুলো থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ১২ জেলায় জ্বালানী তেলের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বোরো  মৌসুমের শুরুতে জ্বালানী তেলের সংকট থাকায় চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়েও তেলের দাম বৃদ্ধি করা  হয়েছে। স্থানীয় ডিপোগুলোতে জ্বালানী তেল রাখার একটুও জায়গা খালি নেই। ডিপোগুলোর ঘাটে একাধিক জাহাজ নোঙ্গর করে আছে।
ডিপোগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতমাস থেকে মাসের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিরোধীদলের অবরোধ কর্মসূচির কারণে ট্যাংকলরী চলাচল করছে না। আবার আজ  থেকে ৮৩ ঘন্টার অবরোধ চলবে। ফলে দৌলতপুরস্থ ডিপো থেকে ফরিদপুর, রাজবাড়ি, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, নড়াইল, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা বাগেরহাট জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
যমুনা ডিপোর বিক্রয় কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, উল্লিখিত জেলাগুলোর ১৫০ জন ডিলার ৯২টি ফিলিং স্টেশনে জ্বালানী তেলের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এসব জেলা থেকে ট্যাংকলরীগুলো দৌলতপুরের ৩টি ডিপোতে তেল আনছে না। ডিপোতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক কোটি ৫০ লাখ লিটার ডিজেল ২৫ লাখ লিটার কেরোসিনের মজুদ রয়েছে।
ডিপোর সিনিয়র অফিসার খাদেমুল ইসলাম জানান, ভৈরব রূপসা নদে ১২টি তেলবাহী জাহাজ নোঙ্গর করে আছে। গত বৃহস্পতিবার মার্কেন্টাইল-৬০ নামক জাহাজ থেকে ১৭ লাখ লিটার ডিজেল খালাস করা হয়। নৌঙ্গর করা জাহাজগুলোতে এক কোটি ৫০ লাখ লিটার ডিজেল, পেট্রোল, ফার্নেস অয়েল কেরোসিন তেল মজুদ রয়েছে।
পদ্মা ডিপোর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (বিক্রয়) ইব্রাহিম হামিদুর রহমান জানান, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের ১৮০টি এজেন্ট ৯৩ জন পেট্রোল পাম্পের মালিক জ্বালানী ক্রয় করতে আসছে না। ডিপোতে এক কোটি লাখ ১৮ হাজার গ্যালন ডিজেল লাখ ১৫ হাজার লিটার কেরোসিন তেলের মজুদ রয়েছে। ঘাঁটে নৌঙ্গর করা ৪টি জাহাজে ২০ লাখ লিটারেরও বেশি ডিজেল, কেরোসিন ফার্নেস অয়েল মজুদ রয়েছে।
মেঘনা ডিপোর ডেপুটি ম্যানেজার মো: আব্দুল্লাহ জানান, প্রতিষ্ঠানের ১০৮ জন ডিলার ২শএজেন্ট জ্বালানী উত্তোলন করতে পারছে না। ডিপোতে হাজার ৪১৮ মেট্রিক টন ডিজেল এবং ৭শমেট্রিক টন কেরোসিন তেলের মজুদ রয়েছে। ডিপোতে তিল ধরনের ঠাঁই নেই। উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানের ঘাটে ৫টি জাহাজ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, দেড় হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল, ২৩৮ মেট্রিক টন অকটেন, ৬৫২ মেট্রিক টন কেরোসিন তেল নিয়ে অবস্থান করছে।
জেলা প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, নভেম্বর থেকে গত ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পদ্মা অয়েল কোম্পানী থেকে ৪৫টি প্রতিষ্ঠান হাজার ৭শলিটার পেট্রোল এক লাখ ২১ হাজার লিটার ডিজেল উত্তোলন করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানান, বোরোর বীজতলা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। খুলনা জেলায় এবারে ৪৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে।

Comments