অনিয়মের অভিযোগ/জয়নাল ফরাজী


খুলনার ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের
কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ গ্রহণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ
জয়নাল ফরাজীঃ
আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন শৃংখলা কাজে পুলিশের পাশাপাশি নিয়োজিত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ গ্রহণসহ নানা ধরণের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অদক্ষ আনসার সদস্যদের দাপটসহ নানা অনিয়মে দক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার সদস্যরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে নিরুসাহীত হচ্ছেন বলে সংশি¬ষ্টদের অভিযোগ।
সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী জানুয়ারী সারা দেশে  দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দিন খুলনার তিনটি আসনে(, ৩নং) ভোট গ্রহণ চলবে। বাকী তিনটি আসনের প্রার্থীরা ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে আইন শৃংখলা রক্ষায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দিয়ে থাকেন আনসার টিডিপি সদস্য। সে মতে এবারও ভোট কেন্দ্রে আনসার সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন সংশি¬ষ্টরা। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতি ভোট কেন্দ্রে ১৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এবার তা কমিয়ে ১২ জন করা হয়েছে বলে জানান জেলা আনসার এ্যাডজুট্যান্ট আব্দুল আওয়াল। এদের মধ্যে পুরুষ-মহিলা থাকবে। এদের পাশাপাশি থাকবে ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্য। খুলনা- আসনের মধ্যে খালিশপুর থানা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। থানা এলাকায় ৬৫টি আনসার দল থাকবে। অর্থ্যা৭৮০ জন সদস্য ভোট কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন। এভাবে খুলনার তিনটি আসনের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আনসার টিডিপি সদস্য কর্মরত থাকবেন। ডিউটি পালন করার জন্য দলপ্রতিকে ১৪৮০ টাকা  সদস্যকে ১৩শটাকা সম্মানী দেয়া হবে। এসব আনসার সদস্য নিয়োগ দেয়ার সময় মাথা প্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। দল প্রতি তার গ্র সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থানা অফিসার অথবা উপজেলা আনসার অফিসারকে দিচ্ছেন। যারা টাকা দিচ্ছেন না তাদের নির্বাচনী ডিউটি দেয়া হচ্ছে না। এতে করে সদস্যরা অনেকটা বাধ্য হয়ে দল নেতার চাহিদা মোতাবেক টাকা দিয়ে নির্বাচনী ডিউটিতে অংশ নেয়ার প্রস্তুত নিয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক আনসার টিডিপি সদস্য জানান। কোন কোন দলপতি সদস্যদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করে বলেন, থানা উপজেলা অফিসাররা দল প্রতি হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। টাকা না দিতে পারলে ওই দলপ্রতিকে গ্র দেয়া হচ্ছে না। জন্য অধিকাংশ দলপ্রতিরা অনেকটা বাধ্য হয়ে সদস্যদের কাছ থেকে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩শটাকা পর্যন্ত কোচ গ্রহণ করছেন। তারা বলেন, প্রশিক্ষিকা আরিফার অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। তিনি কোন কাজই কোচ ছাড়া করেন না। বিষয়টি বিগত দিনে উর্দ্ধতন মহলে জানালেও কাজ কিছুই হয় না বলে তাদের অভিযোগ ১৫নং ওয়ার্ড আনসার কমান্ডার আব্দুল খালেক বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। আনসার ব্যাটেলিয়ান সদস্য ইসমাইল হোসেনও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে ছুটছেন। এমন কিছু অভিযোগ স্বীকার করে প্রশিক্ষিকা আরিফা জানান, তিনি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নন। তবে হাবিব নামের একজন আনসার সদস্যকে তিনি চেনেন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাবিব তার কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। পরে তিনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন বলে জানান। দিঘলিয়া, দৌলতপুর খালিশপুর থানা আনসার টিডিপি অফিসার হাবিবুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘ / বছর ধরে খুলনায় আনসার সদস্যদের প্রশিক্ষণ হয় না। এতে করে কেসিসির ভিতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার সদস্য সংকট রয়েছে। জেলা আনসার এ্যাডজুট্যান্ট আব্দুল আওয়াল বলেন, গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় থানা উপজেলা আনসার অফিসারদের বিরুদ্ধে সদস্যদের কাছ থেকে কোচ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। এবার এখনও পর্যন্ত তিনি অভিযোগ শোনেননি। তবে অভিযোগ শোনার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।

Comments