নগরীতে মাদক প্রবেশের নিরাপদ রুট খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক 
জয়নাল ফরাজী:

নগরীতে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ঢুকছে মাদকদ্রব্য। তবে সবচেয়ে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক। সেখানে দায়িত্বরত এক অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার কারনেই এ রুট সবচেয়ে নিরাপদ বলে জানা যায়। 
অবৈধভাবে আসা পণ্য কলোরোয়া-সরোজকাটি-কেশবপুর হয়ে চুকনগর বাজারের মধ্যদিয়ে শোলগাতিয়া ব্রীজ হয়ে নগরীর দৌলতপুর, খালিশপুর, বড়বাজার এলাকায় সয়লাব করা হচ্ছে। ভোমরা বন্দর এলাকা থেকে অবৈধপথে আসা পন্য খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক হয়ে ডুমুরিয়া বাজার, বটিয়াঘাটা বাজারসহ ঢাকা এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই পণ্যের মধ্যে নিরবে আসছে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য।
গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র জানায়, ভারত, মিয়ানমার ও নেপাল থেকে চোরাইপথে মাদক ঢুকছে বাংলাদেশে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের নাকের ডগা দিয়েই রেল ও সড়ক পথে মাদকদ্রব্য আনা হয়ে থাকে। সীমান্ত গড়িয়ে আনা ভারতীয় মাদকদ্রব্য নানা কৌশলে এনে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর, রেলগেট, বৈকালী জংশন ও খুলনা রেল স্টেশনের অদূরে নামানো হয়। বিভিন্ন সড়কপথে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিযোগে ও নৌপথে মংলা হয়ে বিভিন্ন ধরনের মাদক খুলনায় প্রবেশ করছে।
খুলনা রেল স্টেশন, শেখপাড়া, গোবরচাকা, লবণচোরা, মিস্ত্রিপাড়া ও রেলগেট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এর মজুদ গড়ে তোলা হয়। সেখান থেকে তা বিক্রির জন্য নগরীর প্রায় দুইশ পয়েন্টে পাঠানো হয়। তাছাড়া খুলনা শহর মাদকদ্রব্য পাচারের ট্রানজিট রুট হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এজন্য সংঘবদ্ধ পাচারকারী দলও রয়েছে।
নগরীর ঘাট এলাকা, বড় বাজার, নতুন বাজার ও লবণচরা এলাকা থেকে নদীপথে লঞ্চ ও ট্রলারযোগে এবং সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল ও রূপসা ঘাটের ওপাড় থেকে সড়কপথে বাসসহ অন্যান্য মাধ্যমে নানা প্রকারের মাদকদ্রব্য পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই মাদক চোরাকারবারিদের ছাড় দেওয়া হবে না।

Comments