বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
জয়নাল ফরাজী

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। লাখো শহিদের রক্তে রঞ্জিত জাতীয় দিবস।  বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা ওড়ানো দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের সূচনা করে। আর এই দিনেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানÑ তাই ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। দেশমাতাকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় বিজয়ের লাল সূর্য। আমরা পেলাম স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ। ১৯৭১-এ জন্ম নেওয়া বাংলাদেশটির বয়স আজ ৪৫ বছর।
স্বাধীনতা শব্দটির তাৎপর্য গভীর ও ব্যাপক। স্বাধীনতা মানে নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আয়োজন নয়। স্বাধীনতা হলো স্বাধীন রাষ্ট্রে সার্বভৌম জাতি হিসেবে টিকে থাকার আয়োজন। স্বাধীনতা মানে  ইচ্ছার স্বাধীনতা, রাজনীতির স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি। একটি দেশের স্বাধীনতা সেদিনই সার্থক হয় যেদিন দেশের আপামর জনগণ প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক পরিবেশে, নিজেদের নাগরিক অধিকার  নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা অর্জন করে।
আজ আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসের রক্ত আখরে লেখা অনন্য এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। তবে এই দিনটি আসার পেছনের ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখতে পাই ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার মানুষ তথা বাঙালিদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। প্রথমেই বাঙালিদের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির  ওপর আঘাত হানে। সমগ্র  পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ  মানুষের ভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে  উর্দুকে এককভাবে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়। গর্জে ওঠে বাঙালি, গড়ে তুলে ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্র“য়ারিতে বাংলার দামাল তরুণদের জীবন দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়।  ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বাঙালিদের রাজনৈতিক ঐক্য যুক্তফ্রন্ট বিজয় অর্জন করে। কিন্তু  পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে অল্পকালের মধ্যেই ভেঙে দেয় প্রাদেশিক যুক্তফ্রন্ট সরকার। অল্পকালের মধ্যেই গড়ে ওঠে ছয়দফা ও এগার দফা আন্দোলন।  আন্দোলন ক্রমেই গণআন্দোলনে রূপ লাভ করে।  আর এরই মধ্যে আগুনে ঘি ঢাকার মতো ঘটনা ছিলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংগঠিত হত্যাকাণ্ড। এবার গণআন্দোলন গণবিস্ফোরণে পরিণত হয়। আন্দোলনের মুখে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান পদত্যাগ করলেন। ক্ষমতায় আসলেন জেনারেল ইয়াহিয়া খান।  ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় এসেই নির্বাচন দিলেন।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাঙালিদের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় না। শুরু হয় ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত  করার ষড়যন্ত্র। ইয়াহিয়া তথা সরকারপক্ষ আলোচনায় বসতে চাইলেন এবং  বসলেন। এবার শুরু হলো আলোচনার নামে কালক্ষেপণ। এতসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এ বিশাল জনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে বললেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর। পৃথিবীর ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড চালায় অপারেশন সার্চলাইট নাম দিয়ে। তখন থেকেই এ দিনটি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১৯৮০ সালের ৩ অক্টোবর সরকার দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা শুরুর পরই মধ্যরাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণা তৎকালীন ইপিআরের ওয়্যারলেস থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেনÑ
পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিতে পিলখানার ইপিআর ঘাঁটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করেছে এবং শহরের লোকদের হত্যা করছে। ঢাকা, চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে। আমি বিশ্বের জাতিগুলোর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সাথে মাতৃভূমি মুক্ত করার জন্য শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করছে। সর্বশক্তিমান আহর নামে আপনাদের কাছে আমার আবেদন ও আদেশ দেশকে স্বাধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান। কোনো আপস নেই, জয় আমাদের হবেই। আমাদের পবিত্র মাতৃভূমি থেকে শেষ শত্রুকে বিতাড়িত করুন। সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং অন্যান্য দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতাপ্রিয় লোকদের এ সংবাদ পৌঁছে দিন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন, জয় বাংলা।
২৭ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পাঠ করেন।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হওয়ার আগমুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার একটি লিখিত বাণী চট্টগ্রামের জহুর হোসেনসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র এ সময় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। ২৬ মার্চ কালুরঘাট ট্রান্সমিশন সেন্টার থেকে সর্বশক্তি নিয়ে হানাদার বাহিনীর মোকাবিলা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। উল্লেখ্য যে, এ ঘোষণা প্রচারের সময় বেতার কেন্দ্রের নাম ছিল স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র কিন্তু পরে বিপ্লবী শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এ বেতার কেন্দ্র থেকেই ২৭, ২৮ ও ৩০ মার্চ পর পর তিনটি ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে স্বাধীনতার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।  শুরু হয় স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ। যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, সেনা ছাউনিগুলোতেও।
হানাদারদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধুর তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশনামূলক উদাত্ত আহ্বানে গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে প্রত্যক্ষভাবে।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বিকেল ৩টায় রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিব এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন। দেশের ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে শেখ মুজিবের এই ভাষণ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রেসকোর্সের বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা করেন : এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন রক্ত আরও দেব, দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল, আমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্র“র মোকাবিলা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ জনতা নেতার এ উদাত্ত আহ্বানকে স্বাগত জানায় এবং দেশের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারের প্রতিশ্র“তি দেয় এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ছিনিয়ে আনে আজকের স্বাধীনতা। 
ইতিহাসের নতুন অধ্যায়টিতে প্রবেশ করতে গিয়ে নতুন প্রজন্মের বোঝা উচিত যে,  স্বাধীনতা মানে শুধু পরাধীনতা থেকে মুক্তি নয়, নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আয়োজন ও শুধু নয়। স্বাধীনতা হলোÑ স্বাধীন রাষ্ট্রে সার্বভৌম জাতি হিসেবে টিকে থাকার আয়োজন। স্বাধীনতা মানে ইচ্ছার স্বাধীনতা, রাজনীতির স্বাধীনতা এবং অবশ্যই অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্পষ্টভাবেই উচ্চারণ করেছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। এই মুক্তির সংগ্রামে  জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের তরুণ প্রজন্ম একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামীদের মতোই স্বপ্ন ও সাহস  এগিয়ে আসুক, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
এবারে আমরা স্বাধীনতার ৪৪ বছর উদযাপন করব। ইতিহাসের পাতায় এটি  দীর্ঘ সময় না হলেও কোনো জাতির অগ্রগতির  জন্য একেবারে কম সময়ও নয়। এই সময়ে আমাদের আত্মজিজ্ঞাসার প্রয়োজন যে আমরা কী করতে পেরেছি, কী পারিনি, মুক্তিযুদ্ধে  এত আত্মদান ও ত্যাগ তিতিক্ষার পেছনে আমাদের যে লক্ষ্য  ও স্বপ্নগুলো ছিল, সেসব কতটা পূরণ হয়েছে।  আমরা জানি যে,  মুক্তিযুদ্ধের  মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িকতা; আমাদের মুক্তিসংগ্রামের মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। বলা বাহুল্য, সেই  পথে আমরা বেশি দূর এগুতে  পারিনি। আমাদের গণতন্ত্র এখনো চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। সেই সাথে এখন সময়ের দাবি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই স্বাধীনতা লাভ করার পরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। আমাদের দেশেও স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজন হলোÑ সে প্রক্রিয়া বেশি দূর  এগুতে  পারেনি। স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিত্র সেই অর্থে সুখের নয়। রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস  তার  সাক্ষ্য  বহন করে। স্বাধীনতা বিরোধীরা ভিন্ন মোড়কে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে, রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে  আমাদের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে গাড়ি দৌড়ে বেরিয়েছেÑ যা সত্যিই লজ্জ্বা ও অপমানজনক। স্বাধীনতার চার দশক পরে তরুণ প্রজন্ম আজ জেগে উঠেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে।  বাংলার আপামর  জন সাধারণের একটাই দাবি আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, আশ্রয় দিলে রক্ষা নাই। যদিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে, নতুন প্রজন্ম সাঠিক বিচার চেয়ে আজ রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে  এটাও বিরল ঘটনা।  বাঙালি ইতিহাস জন্ম দেওয়া জাতি। তার প্রমাণ এর আগেও রয়েছে।
বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে অত্যন্ত আন্তরিক। তবে স্বীকার্য বিষয় এই যে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আমাদের কিছু অগ্রগতি নিশ্চয়ই হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন  পূরণ করতে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল জাতীয় ঐক্য, ন্যায় ও গণতন্ত্র; মুক্তিসংগ্রামের মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, স্বাধীনতার চার দশক পরও আমরা সেই পথে বেশি দূর এগোতে পারিনি।
যে লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল দেশপ্রেমিক জনতা, স্বাধীনতার ৪৫ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য ও আদর্শ কতটা অর্জিত হয়েছে, কতটা হয়নি, আজ স্বাধীনতা দিবসে সেই প্রশ্নে উত্তর জানা জরুরি। একাত্তরের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাক এটাই এবারের স্বাধীনতা দিবসের প্রত্যাশা।

Comments