আল্লাহ মেঘ দে পানি দে/জয়নাল ফরাজী

আল্লাহ মেঘ দে পানি দে...
# পুড়ছে মানুষ # পুড়ছে দেশ


জয়নাল ফরাজীঃ
গতকাল খুলনার পাইকগাছায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ৫দশকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড। প্রচন্ড গরমে যেমনি পুড়ছে মানুষ তেমনি পুড়ছে গোটা দেশ। রাস্তা দিয়ে হাটলে মনে হয় হরতাল চলছে। আর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হয়েছে মরার ওপর খাড়ার ঘা। দিনমজুর মানুষের বিশেষ করে রাজমিস্ত্রি, রিক্সাচালক, কৃষকের হয়েছে মরণ দশা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যেও রোদে পুড়ে কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে তীব্র গরমে ফসলি মাঠ ফেটে চৌচির। খরার মৌসুমে মাঠ, খাল-বিল শুকিয়ে যেন খাঁ খাঁ করছে। বৃষ্টির জন্য প্রতীার প্রহর গুনছে গোটা দেশের লোক। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইসতেকার নামাজ আদায় করা হচ্ছে। কেউ বা মনের অজান্তে গেয়ে উঠছে আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দে রে তুই। হয়ত বা মনে পড়ে ‘ঘাম ঝরে দরদর গ্রীষ্মের দুপুরে, খাল-বিল চৌচির জল নেই পুকুরে’ কবিতার এই লাইনটুকু।
বৈশাখের শুরুতেই তীব্র তাপদাহে পুড়ছে খুলনাসহ গোটা দেশ। তীব্র গরমে বিপর্যস্থ হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের জনজীবন। খুলনা আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, অসহনীয় এ অবস্থা আরও কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া দু’একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। তবে বৃষ্টি হলেই কমবে গরম। এদিকে এ সপ্তাহের মধ্যে গত মঙ্গলবার খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিলো। তাপমাত্রা গত সোমবার ছিলো ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, গত রোববার ছিলো ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস, গত শনিবার ছিলো প্রায় ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
চলতি এপ্রিল মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে দু’একটি নিম্নচাপ হতে পারে, যার মধ্যে অন্ততঃ একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। চলতি মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র এবং অন্যান্য এলাকায় দু’তিনটি মৃদু বা মাঝারি তাপপ্রবাহ অনুভূত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
অপরদিকে ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি রয়েছে লোডশেডিং। গরম শুরুর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। দিনের পাশাপাশি মধ্যরাতেও লোডশেডিং হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় বাড়িতে থাকাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে লোকজনের। এ অবস্থায় জনজীবন যেন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

Comments