খুলনার যুব সমাজকে ধ্বংস করছে ইয়াবা
জয়নাল ফরাজী: 

যুবকের বয়সের কৌতুহল ও যৌনতা সম্পর্কে ধ্যান-ধারনায় আকৃষ্ট হয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ইয়াবার দিকে ঝুঁকছে উঠতি বয়সের যুবক-যুবতীরা। এর ফলে এই মাদকাসক্ত যুবকরা নানা প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। অথচ তাদের নিরাময়ে বা রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি কেনো জোরালো উদ্যোগ নেই।
নগরীর সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা এলাকার ২৪ বছরের যুবক গোলাম রসুল ওরফে পিচ্চি রসুল। এলাকায় গ্রীল কাটা চোর হিসেবে পরিচিত। মাদকের প্রায় প্রতিটি স্তরই তার ঘুরে আসা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আসক্ত ইয়াবায়। তার সাথে রয়েছে প্রায় ১০-১২জন যুবক। যারা প্রত্যেকেই ইয়াবা সেবনে বা বিক্রির সাথে জড়িত। যারা অর্থ যোগাতে তারা প্রত্যেকেই সোনাডাঙ্গাস্থ কেসিসির সোলার পার্কে ছিনতাইয়ে লিপ্ত। 
সূত্র জানায়, প্রায় প্রতিদিনই সোলার পার্কে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন বিনোদনপ্রেমীরা। এমনকি পুলিশ থাকা সত্ত্বেও পার্কের কর্মচারীরা ছিনতাইকারীদের দ্বারা অতিষ্ঠ। আর এই ছিনতাইয়ে অংশ নেয় ওই এলাকার মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা।  রসুলের সাথে আরও যুক্ত রয়েছে তার রানা নামের আরেক যুবক। এরা দু’জনে মাদকসহ একাধিকবার আটক হয়েছে পুলিশের কাছে। তাছাড়া তাদের নামে রয়েছে একাধিক মামলা ও অভিযোগ। কিন্তু দুর্বল আইন ব্যবস্থার কারনে তারা বরাবরই আদালত থেকে জামিনে বেড়িয়ে আসে এবং আবারও মাদকে যুক্ত হয়।
সর্বশেষ গত সোমবার রাতে একটি ভাঙ্গারীর গোডাউন থেকে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ৩ পিস ইয়াবাসহ তাদের দুইজনকে আটক করে। সেসময় রসুল ইয়াবা সেবনরত ছিল। আটকের পর পুলিশ তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে ম্যাজিস্ট্রেট আল-মামুন উক্ত রসুলকে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। পার পেয়ে যায় অপরজন। তার কারণ হিসেবে পুলিশ জানিয়েছে তার সাথে ইয়াবা পাওয়া যায়নি এবং সে ইয়াবা সেবন করেনি। 
তবে এলাকাবাসী জানায়, রানা স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলে। যার সাথে পুলিশের ভালো সম্পর্ক। এজন্য তার ছেলে পার পেয়ে যান। ৫-৬বছর এই ছেলে ওই এলাকার এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক হয়। এছাড়া ছিনতাইয়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি বর্তমানে সময়ে যুব সমাজ ধ্বংসকারী ইয়াবা বিক্রির সাথেও সে জড়িত। তবে বারবার তার পার পেয়ে যাওয়াকে রহস্যজনক হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ দক্ষিণাঞ্চল জানান, ইয়াবাসহ আটকের পর রসুল নামের এক যুবককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। তবে রানার কিছু না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

Comments